যার চোখের সামনে ঘটেছে বাবা মায়ের বিচ্ছেদ, যেতে হয়েছে অনাথ আশ্রমে সেই ছেলেটাই আজ বিশ্বসেরা কোম্পানির মালিক! বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর যেতে হয়েছিল এতিমখানায়, সংগ্রাম করেই জীবনের প্রতিটা সিঁড়ি অতিক্রম করেছেন তিনি । তবুও তার টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হওয়াটা অনেকেই ভাল করে দেখেন। জীবনে প্রেম হলেও করা হয়ে ওঠেনি বিয়েটা হবার পেছনেও আছে গল্প। এই ভদ্রলোকের জীবন নিয়ে একটা নয় কয়েকটা সিনেমা বানানো যাবে।
বিশাল অর্জন তার পরিশ্রমের ফসল। টাটা গ্রুপের প্রথম থেকে না দেখেই বোঝা সত্যিই কঠিন। ছোটবেলা খুব ভালো কাটেনি রতন টাটার, টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজী টাটার ছোট ছেলে সন্তান ছিলেন। তিনি তার প্রথম স্ত্রী সন্তান ছিলেন তখনই বাবা মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে, বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর এত অসহায় হয়ে পড়েন যে রতন টাটা কোন অবস্থান নিতে হয় যে প্রীতি নামের এক অনাথ আশ্রমে । পরে তো এই ঘটনা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে অনাথ আশ্রম এ আসেন এবং দুই নাতি ও পুত্রবধু দায়িত্ব নেয় তাদের কাছেই শৈশবের দিনগুলো কাটে রতন টাটার।
এরপর পড়াশোনা শুরু করেন চ্যাম্পিয়ন স্কুলে পড়ে ক্লাস এইট পর্যন্ত পরপর পড়তে যান তিনি পড়াশোনা করেছেন। সেগুলো স্কুলে পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে, পড়াশোনা করছিলেন তিনি বরাবরই নিউইয়র্ক এ। তিনি লেখাপড়া শেষের পর পরই আমেরিকা এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকরী করলেও পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে চাকরি শুরু করেন। নিজের অদম্য মনোবল খুব অল্প সময়ে তিনি চলে আসেন ক্যালেন্ডারের পাতায় তখন .১৯৯১সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান জেআরডি টাটা অবসরে যাওয়ার সময় কাটাতেই পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেন। তারা যখন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হলে অনেকেরই পছন্দ হলো না, যারা ছিলেন তারা কেউই চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাইছিলেন না।
খুব সুন্দরভাবেই বিক্ষোভকারীদের কর্মীদের চাকরির বয়সসীমা বেঁধে দিলেন অধিকাংশ প্রশাসক এই একই নিয়মে গেলেন রাতারাতি। কারণ যারা ছিলেন তাদের অনেকেরই বয়স হয়ে গেছে এবং তাদের অনেকেরই স্বপ্ন ছিল তা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে বসানো। তাই করতে লাগলেন টাটা কোম্পানি বিশ্বসেরা কোম্পানির খাতায় নিজের নাম লেখাতে পারবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করলেন, সবার আগে এভাবে ফাঁকিবাজি করার সুযোগ চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল। টাটা কোম্পানিতে কাজে লাগে সেটা পুরোটাই মালিকের কেটে গেলেও আমলে শুরু হয় লাভের। একটা অংশ উন্নয়নে ব্যবহার করা এভাবেই নেতৃত্বে .২১ বছরে আয় বেড়ে গেল ৪০ গুণ। সকলের জন্য অনুপ্রেরণা যাকে মাত্র .১০ বছর বয়সেই যেতে হয়েছিল অনাথ আশ্রম। এ জীবন প্রতিদিন নিত্যনতুন বাধা আর সমস্যার শিকার করেছে সেই মানুষটা আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। বন্ধুরা হেরে যাওয়া নয় জীবনের মূলমন্ত্র আপনাদের জীবনের সংগ্রামে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন টাকার উপর “চাহিবামাত্র ইহার বাহককে – টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে” লেখার কারণ
আপনার মতামত জানান